মেথিকে ইংরেজিতে বলা হয় “Fenugreek”। মেথি মসলা হিসেবে এবং আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে রোগীর পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই।

মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফসফোলিপিডস, গ্লাইকোলিপিডস, লিনোলিক অ্যাসিড, কোলিন, ভিটামিন এ, বি১, বি২, সি, নিকোটিনিক অ্যাসিড। এছাড়া আয়রন, ম্যাংগানিজ ও ম্যাগনেসিয়ামের উৎস এটি।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক, মেথির অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা –

১. মেথিতে আছে প্রাকৃতিক তন্তু, যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। দিনে দুই-তিনবার মেথি চিবাতে থাকলে বেশি না খেলেও পেট ভরা মনে হবে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা মেথি কাজে লাগাতে পারেন।

২. নিয়মিত মেথি খেলে সর্দিকাশি কমে যায়। লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।

৩. চুল পড়া ঠেকাতে মেথি খেলে উপকার পাওয়া যায়। মেথি সেদ্ধ করে সারা রাত রেখে তার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত মাথায় মাখলে চুল পড়া কমে।

৪. অন্ত্রের নড়াচড়া বৃদ্ধি করে মেথি। যাদের পেট জ্বালা বা হজমে সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত মেথি খেতে পারেন। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। মেথি ঝরানো পানি খেলেও হজমের সমস্যা দূর হবে। এমনকি পেপটিক আলসার সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।

৫. রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর অসাধারণ এক শক্তি থাকায় ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুব ভালো এই মেথি।

৬. নিয়মিত মেথি খেলে পেটে কৃমি হয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

৭. মেথি আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তস্বল্পতা, অর্থাৎ অ্যানিমিয়া রোগের পথ্য হিসেবে কাজ করতে পারে।

৮. মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে ওষুধের বিকল্প হলো মেথি। সদ্য মা হওয়া নারীর জন্য মেথি উপকারী।

৯. ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে মেথি, বিশেষ করে স্তন ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য মেথি কার্যকর। মেনোপজ হলে নারীর শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। হরমোনের এই পরিবর্তনের কালে মেথি ভালো একটি পথ্য।

১০. মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম