শীতকালকে “সবজিকাল” বলে অভিহিত করা হলেও মনে হয় তেমন একটা ভুল বলা হবে না, কারন শীতকাল মানেই সবজিকাল।

আর বেশী বেশী শীতকালীন সবজি মানেই অধিক বেশী পুষ্টি, কারন শীতকালীন সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ বিটা-ক্যারোটিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, আঁশ, ভিটামিন ও মিনারেল।

আমরা কম–বেশি প্রায় সকলেই শীতকালীন সবজি খেতে ভালোবাসি কিন্তু কিছু কিছু অসুখের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সবজী খেতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, যা না জানার কারনে বিপাকে পরতে হয় অনেককেই!

আর কোন অসুখে কোন সবজী খেতে বারণ, তা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটি।

পালংশাক – পালংশাকে যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেল, বিশেষ করে পটাশিয়াম থাকে। কিডনির রোগে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকলে পালংশাক না খাওয়াই ভালো।

ফুলকপি ও বাঁধাকপি – গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের গলগন্ড ও হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, ফুলকপি–বাঁধাকপি তাঁদের থাইরয়েডের আয়োডিন ব্যবহার করার ক্ষমতাকে বাধা দিতে পারে। বিশেষ করে, সালাদ হিসেবে খাওয়া যাবে না। অন্যান্য সবজির সঙ্গে সামান্য পরিমাণে খেলে ক্ষতি নেই।

ব্রকলি – ব্রকলিতে উচ্চ মাত্রার পিউরিন রয়েছে, যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতি বাড়াতে পারে। তাই গাউট (গেঁটে বাত) রোগীদের জন্য ব্রকলি খাওয়া সীমিত করা উচিত। ফুলকপির ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য।

গাজর – বিটা-ক্যারোটিনের চমৎকার উৎস গাজর। এটি শরীরে প্রবেশ করে ভিটামিন এ–তে রূপান্তরিত হয়। গর্ভস্থ শিশুর চোখ ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে ভিটামিন এ অপরিহার্য। তবে প্রয়োজনীয় পরিমাণের বেশি ভিটামিন এ ভ্রূণের বিকাশ ও বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

নতুন আলু – শীত এলেই অনেকে নতুন আলুর স্বাদ নিতে ভুল করেন না। তবে যে আলুই হোক, ডায়াবেটিস রোগীরা হিসাব করে খাবেন। কারণ, আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। রক্তের গড় শর্করা এইচবিএ১সি লেভেল ৭-এর নিচে থাকলে দিনে এক–দুই টুকরা আলু খেতে পারেন। তবে এইচবিএ১সি লেভেল ৯ বা ১০ এর ওপরে থাকলে আলু না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

মটরশুঁটি ও মুলা – গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। আর এই সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদের মটরশুঁটি ও মুলার পাশাপাশি ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো পেটে গ্যাস সৃষ্টিকারী সবজিও খুব বেশি না খাওয়াই ভালো।